প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি লাশের ওপর প্রতিষ্ঠিত, সেই কারণে তারা লাশ সৃষ্টি করতে চায়। আর আগস্ট মাস এলেই তাদের এই প্রবণতাটা আরো বেড়ে যায়। সে জন্য ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি। সারা দেশে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে লাশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাবে।'
-আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বিএনপির রাজনীতিটা লাশের ওপর প্রতিষ্ঠিত। জিয়াউর রহমান লাশের ওপর পাড়া দিয়েই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন এবং ক্রমাগতভাবে বহু সৈনিকের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন। ১৯টা ক্যু হয়েছে, শত শত নয়, কয়েক হাজার সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছেন জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছেন তিনি। লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখল করে ক্রমাগতভাবে লাশ সৃষ্টি করে দেশ পরিচালনা করেছেন। তিনি বলেন, এরপর খালেদা জিয়াও একই পথ অনুসরণ করেছেন। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে কিভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে লাশ বানিয়ে সেই লাশ আবার পুড়িয়ে অঙ্গার করে ফেলেছেন। লাশের ওপর দাঁড়িয়েই তাদের রাজনীতি।
'লাশের ওপর প্রতিষ্ঠিত' বিএনপির রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
'ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভোলায় তারা যে মিছিল ও সমাবেশ করবে তা পুলিশকে জানায়নি। এর পরও পুলিশ তাদেরকে সহযোগিতা করেছে। যখন তারা দোকানপাট ভাঙচুর এবং পুলিশের প্রতি ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করল, বিএনপির সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে। সেই গুলিতে পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন, আরেকজন কনস্টেবলকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিএনপি অফিসে মারধর করা হয়েছে।'
-তিনি বলেন, আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে। সেখানে তাদের দুজন কর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। আগে যিনি মৃত্যুবরণ করেছে ডাক্তারের রিপোর্ট হচ্ছে তার হেড ইনজুরিতে মৃত্যু হয়েছে। হেড ইনজুরি ইটপাটকেলের আঘাতেই হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়। ইটপাটকেল তো বিএনপিই ছুড়েছে। তাদেরকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর দায়দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির। প্রকারান্তরে তাদের মৃত্যুর জন্যও দায়ী বিএনপি।